ওই যে দূরে যাচ্ছে দেখা
কংসাবতীর চর,
ওইখানেতেই সবুজ ঘেরা
আছে আমার ঘর।
গাছ গাছালি পাক-পাখালির
মিষ্টি কুহুতান,
করিম মিঞা মধুর সুরে
গাইছে মাটির গান।
নদীর বুকে পানসি বেয়ে
চলছে মন্টু মাঝি,
মাছ ধরতে সঙ্গে আছে
পাড়ার রতন মাজী।
কত চাষী যাচ্ছে মাঠে
করতে ফসল চাষ,
বর্ষা এলে নবীন ধানে
চলবে বারো মাস।
মোদের গ্রামের মাটির বুকে
রাধাগোবিন্দ ধাম,
সন্ধ্যেবেলায় রোজ সেখানে
হয় যে ঠাকুর নাম।
প্রাণের ঠাকুর শ্রী গোবিন্দের
নামেই গ্রামের নাম,
শ্রাবণ মাসের ঝুলন পূর্ণিমায়
চলে কীর্তন গান।
স্বাধীনতা আনতে গিয়ে
চৌদ্দ প্রাণের বলি,
রক্তে রাঙা কংসাবতী
কেমন করে ভুলি!
আমার গাঁয়ের জন্ম ভিটে
স্বর্গ সম স্থান,
হৃদয়-স্মৃতির পাতায় লেখা
গোবিন্দ নগর গ্রাম।
——————